আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব উপকূলীয় প্রদেশে বন্যায় ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ভারি বৃষ্টিপাতে বন্যার মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার জানায়,উদ্ধারকারীরা নিখোঁজদের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে। সম্ভাবনা রয়েছে আরও বৃষ্টিপাতের। খবর রয়টার্স বিস্তারিত জানায়
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে প্রদেশটিতে বন্যা শুরু হয়। এ দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছে শত শত মানুষ। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। দেশটির আঞ্চলিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দফতর জানায়, এখনো হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে এ বন্যা শুরু হয়। কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের প্রধান সিহলে জিকালালা বলেন, বন্যায় ৪০ হাজার ৭২৩ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৩৪১ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে, যা দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।’’
সোমবার (১১ এপ্রিল) শুরু হওয়া ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, মহাসড়ক এবং সেতু। অবিরাম বর্ষণে অঞ্চলটিতে অবস্থিত দেশটির ব্যস্ততম বন্দরগুলোর মধ্যে একটিতে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হয়েছে। এরপর প্রদেশটিকে বুধবার (১৩ এপ্রিল) একটি দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বন্যায় বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার মানুষের জন্য জরুরি তহবিল ঘোষণা করেছে সাউথ আফ্রিকা সরকার। জানা গেছে, এ বন্যায় ১২০টি স্কুল প্লাবিত হয়েছে। ফলে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বন্যাদুর্গত এলাকায় খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর এটিকে ‘স্পষ্টতই জলবায়ু পরিবর্তনের অংশ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে অঞ্চলটির পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। আগামী কয়েক দশকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে সতর্ক করছেন তারা।